সদ্য প্রকাশিত ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এখন লিখিত পরীক্ষায় বসার অপেক্ষায়। সেই লিখিত পরীক্ষা আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। দেশের আট বিভাগীয় শহরে এ পরীক্ষা হবে। স্ব স্ব জেলা প্রশাসককে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে পাঠানো চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠি থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ১২ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা হবে। আর ১৩ জুলাই (শনিবার) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা নির্ধারিত ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটে শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা এরই মধ্যে আট জেলার প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। ওইদিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার সূচি না রাখার অনুরোধও করা হয়েছে চিঠিতে।
গত ১৫ মে ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন চার লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে দুই লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে দুই লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জনসহ সর্বমোট চার লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড় হার ৩৫.৮০ শতাংশ।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১৮ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ প্রার্থী। পাস করেছেন চার লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। তাই দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষায় অংশ নিলেও আট লাখ ৬০ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি।
গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের স্কুল/সমপর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২–এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন দেশের আটটি বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন বিকেলে কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। এতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৯৮৫ জন। এতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় এক লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। পরে উত্তীর্ণ এক লাখ চার হাজার ৮২৫ প্রার্থী ৫ ও ৬ মে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।