শ্লীলতাহানির অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় জেরার জন্য আদালতে হাজির হন মামলার বাদী চিত্রনায়িকা পরীমণি। তবে আদালতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর জেরাতে না থেকে আবেদন দিয়ে আদালত ছাড়েন তিনি।
সোমবার (২৬ মে) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে হাজির হন তিনি। এরপর বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে জানানো হয় এ মামলায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা পরীমণিকে জেরা করবেন। এরপর পরীমণি নিজ গাড়িতে বসে ছিলেন।
এভাবে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন পরীমণি। পরে পরীমণি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে অসুস্থতার বিষয়টি আদালতে জানিয়ে জেরার জন্য সময়ের আবেদন করেন পরীমণি। আদালত তা মঞ্জুর করে জেরার জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন। এরপর আদালত ছাড়েন পরীমণি।
২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর পরীমনির আংশিক জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত বছরের ২৪ জুলাই আদালতে জবানবন্দি দিতে ইতস্তত বোধ করেন পরীমনি। তার আইনজীবী ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচারকাজ করার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় পরীমণির জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়।
জানা যায়, ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমনি। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর ২০২২ সালের ১৮ মে একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।