টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন কক্সবাজারবাসী। সেখানকার কয়েকটি উপজেলা পরিণত হয়েছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এখন পর্যন্ত বিপর্যস্ত মানুষের পাশে তেমন কাউকে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। কিন্তু এমতাবস্থায় বানভাসি মানুষের জন্য গাড়িভর্তি খাবার নিয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলায় বিতরণ করেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা সাঈদ হোসেন কাদেরী, জামশেদ উদ্দীন, মাসুদ রানা, আনোয়ার হোসেন, ইউনুস উদ্দীন আকাশ, অনিক খান, তানভীর মো. কায়কোবাদ, নাইমুল হুদা, মেহেদীসহ ২০ জনের একটি টিম কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ও পিএমখালীসহ বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানিতে ঘরবন্দি কয়েক হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি বাঁকখালী নদীর পাড় রক্ষায় অবদান রেখেছেন।
ত্রাণ সামগ্রীর প্রতি প্যাকেটে রয়েছে ৬ কেজি চাল, ১ কেজি চিড়া, আধা কেজি প্যাকেট মুড়ি, দেড় লিটার পানি, কেক, স্যালাইনের প্যাকেট, মোমবাতি, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এমন বৃষ্টিভেজা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা নানাভাবে প্রশংসা করেছেন তাদের।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত নেতারা জানান, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে টিমের অন্যতম উদ্যোক্তা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন ‘নয়াকণ্ঠ’কে বলেন, দেশের প্রতিটি দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। করোনা থেকে শুরু করে সব দুর্যোগে আমরা বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে কিছুটা হলেও বন্যার্ত মানুষের কষ্ট লাগব হবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দেশের জনগণের যেকোনো দুর্যোগে তাদের পাশে দাঁড়ানো নিজেদের নৈতিক কর্তব্য হিসেবে মনে করি। তাই মানবিক দায়িত্ব থেকে কক্সবাজার অঞ্চলের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।