প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য যেসব প্রকল্প গ্রহণ করেছেন অন্য কেউ তা করেননি উল্লেখ করে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ সব উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল যেন জনগণ পায় সেজন্য সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন গত সপ্তাহের প্রচণ্ড বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম শহরের প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ হয়েছে। সেটি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে বাদানুবাদও হয়েছে। এটি আসলে আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন সংস্থা যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে, সেখানে সমন্বয় করার জন্য আমরা ইতোপূর্বেও বেশ কয়েকবার বসেছি। বসার পর কিছুটা সমন্বয় হয়েছে, কিন্তু আরও সমন্বয়ের প্রয়োজন। সেই কারণেই আজ আমরা বসেছি। এছাড়া জঙ্গল সলিমপুরসহ আরো কিছু বিষয়াদি আছে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), সিটি করপোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ডেরও প্রকল্প আছে। এতবড় প্রকল্প, এত মূল্যমানের প্রকল্প, এটির জন্য ভবিষ্যতে তো টাকা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভবপর হবে না। কেন আমরা সুফল পাচ্ছি না, কোথায় সমস্যা, কোথায় সমন্বয়ের অভাব সেগুলো আলোচনা করার জন্যই আমরা সবাই মিলে এখানে বসেছি।
চট্টগ্রামের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার অনেক কিছু করেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন শিগগিরই বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে সড়ক টানেল।
একই সাথে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপনের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে। একটি নতুন নগর নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ভবিষ্যতে। চট্টগ্রামের মানুষ এত উন্নয়ন কখনো দেখেনি এবং এত উন্নয়ন আশাও করেনি।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ চন্দ্র দাশ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, পুলিশ সুপার এ কে এম শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানসহ চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বন্দরসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।