স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের অধিক জনসংখ্যাকে অনেকেই বোঝা মনে করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বোঝা হিসেবে দেখেন না। মুলতঃ জনসংখ্যার আধিক্য দিয়েই তিনি বাংলাদেশকে একটি কর্মক্ষম ও সক্ষম মধ্যম আয়ের দেশে তুলে এনেছেন।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ^ জনসংখ্যা দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশে পরিকল্পিতভাবে নারী-পুরুষের সমতা এনেছেন জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশে নারীর ক্ষমতায়নে নিরব বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন। বর্তমানে দেশের সরকারি বা বেসরকারি যেকোনো অফিসে গেলে পুরুষ ও নারীর প্রায় সমান উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
তিনি বলেন, দেশের পোশাক শিল্পে ৭০ ভাগ নারী যেমন কাজ করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে, তেমনি সরকারি চাকরি করে, শিল্পে, ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি কৃষিতেও নারীরা এখন সমান তালে এগিয়ে এসেছে। শিক্ষকতা পেশায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের জন্য বিশেষ কোটা ব্যবস্থা করে নারীর ক্ষমতায়ন জোরালো করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতেও তিনি নারীদের অবস্থান শক্ত করেছেন। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারসহ ৬৫ জন সদস্য নারী। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ইউনিয়ন পরিষদেও নারীদের জন্য বিশেষ আসন নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নারীদের ক্ষমতায়নে এত গুরুত্ব দেয়ার কারণ তিনি জানেন, দেশের এত বড় জনসংখ্যার আধিক্যের মধ্যে অর্ধেকের বেশিকে বাদ রেখে বাংলাদেশ বিশে^র সাথে সমান তালে এগিয়ে যেতে পারবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে বাল্যবিবাহ এখনো থামানো যায়নি। এটি একেবারে নির্মূল করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশে বর্তমানে দারিদ্রতা ১৫ ভাগ রয়েছে। মানুষকে দরিদ্র রেখে সামনে এগিয়ে চলা কঠিন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৮০ শতাংশ দরিদ্র হার থেকে কমিয়ে এনে এখন মাত্র ১৫ শতাংশ করেছেন। এর পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর এবং ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লকুসও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, শ্রেষ্ঠ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।