ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী বিবেকানন্দ জাতি-ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে ত্যাগের মহিমায় মানবসেবা করে গেছেন।
বুধবার রাতে নগরীর টিকাটুলির রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অক্ষরানন্দ মিলনায়তনে রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “মানবসেবা ছিল স্বামী বিবেকানন্দের একমাত্র ব্রত। এই মানবসেবায় তিনি কখনো জাতি-ধর্ম-বর্ণ বিবেচনা করেননি। তার একমাত্র বিবেচ্য ছিল মানবসেবা। আর মানবসেবার অন্যতম হাতিয়ার ছিল অপরিসীম আত্মত্যাগ।”
সেবার আদর্শে জাতির পিতার মতোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে সীমাহীন আত্মত্যাগ ও অকৃত্রিম ভালবাসা দিয়ে আলিঙ্গন করেছেন। তিনি কখনোই কিছু পাওয়ার আশায় মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেননি। তার একমাত্র ব্রত ছিল বাঙালি জাতির মুক্তি। সে লক্ষ্যে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। যে ত্যাগের কথা স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন সেটা পুরোপুরি ধারণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর দ্বিতীয়টি হলো সেবা। সেবার আদর্শে জাতির পিতা যেমন নিজের পুরো জীবন কাজ করেছেন তোমনি তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিজের পুরো জীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে উৎসর্গ করেছেন। মায়ের মমতায় তিনি বাঙালি জাতিকে ধারণ করেছেন।”
রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালনা পর্ষদ ঢাকার সভাপতি, বিচারপতি শ্রী সৌমেন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদ, রামকৃষ্ণ মিশন ঢাকার সহ-সম্পাদক স্বামী শান্তিকরানন্দ মহারাজ বক্তব্য রাখেন।
রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক স্বামী পূর্ণাত্মনন্দ, ঢাদসিক’র সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর লাভলী চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।