দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন,”দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলির প্রত্যেকটিকে বিশেষ করে মহিলা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি ইন্টারসেকশনালিটি ধারণাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মানুষের পরিচয়ের সামাজিক শ্রেণী, বর্ণ, জাতি, ধর্ম এবং অক্ষমতার মতো বিবিধ দিক রয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলো দুর্যোগের ধারণা তৈরিতে প্রভাব ফেলে। সুবিধাবঞ্চিত একজন প্রতিবন্ধী নারী দুর্যোগের সময় অন্য একজন সুবিধাপ্রাপ্ত শারীরিকভাবে সক্ষম নারীর তুলনায় ভিন্ন ভিন্ন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন। সুতরাং, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে আমাদেরকে এই জটিল ও বাস্তব বিষয়গুলো বিবেচনা করে নীতিমালা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।”
সোমবার ঢাকায় একটি হোটেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ (আইডিএমভিএস) আয়োজিত “দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস,জেন্ডার ও ইন্টার সেকশনালিটি” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ মোঃ আক্তারুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ জিয়া রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,মানুষের লিঙ্গ, বয়স, অক্ষমতা এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট তাদের দুর্যোগ পরিকল্পনায় যে পরিবর্তন আনে সেগুলো বিবেচনায় এনে আমরা দুর্যোগে প্রত্যেকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি। জেন্ডার রেসপনসিভ রিজিলিয়েন্স অ্যান্ড ইন্টারসেকশনালিটি ইন পলিসি অ্যান্ড প্রাকটিস’ (গ্রিপ) দক্ষিণ এশিয়ার অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জনগণের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। আমাদের ‘জেন্ডার রেসপনসিভ রিজিলিয়েন্স অ্যান্ড ইন্টারসেকশনালিটি ইন পলিসি অ্যান্ড প্রাকটিস’ -এর মূলমন্ত্র ধারণ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন,ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানসহ দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকবৃন্দ,জেন্ডার রেসপনসিভ রিজিলিয়েন্স অ্যান্ড ইন্টারসেকশনালিটি ইন পলিসি অ্যান্ড প্রাকটিস (গ্রিপ)এর প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মওরীন ফোরডহ্যাম এবং সাউথ এশিয়া এর আঞ্চলিক প্রধান অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীর উপস্থিত ছিলেন।