তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামাতকে করোনাকালে মানুষের পাশে দেখা যায়নি, বন্যার সময় তাদের দেখা পাওয়া যায় না। কারো দরজায় একমুঠো চাউল নিয়ে তারা যায়নি। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে না থেকে এখন লিফলেট নিয়ে আসছে ভোট বর্জনের জন্য। এধরণের বিভ্রান্তি যারা ছড়ায়, তাদের চিনে রাখতে হবে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান চত্বরে চট্টগ্রাম ৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য বিএনপি-জামাতের লিফলেট কেউ দেখেও না, কেউ পড়েও না। বিএনপি’র নেতা যারা লিফলেট বিতরণ করেন, তারা দশটি বিতরণ করে ছবি তুলে আবার গলির ভেতরে পালিয়ে যায়, মানুষে ধাওয়া করবে এই ভয়ে। এরপর ছবিটা ফেসবুকে দেন। তাদের এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের নাকি এখন পেরেশানি রোগ হয়েছে। সেজন্য নাকি তারা ইন্ডিয়ায় চিকিৎসা করতে গেছে। তাদের শারিরীক ও মানসিক দুটোই সমস্যা হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, আগে ভোট আসলে বিএনপি-জামাত ও তাদের দোসররা জনসাধারণকে বলতো, ভোট বুঝে শুনে দিতে হবে, আওয়ামী লীগে ভোট দিলে ইসলাম চলে যাবে। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ইসরাইলী সেনারা যেভাবে হত্যা করছে এখন তাদের মুখে কোন শব্দ নেই। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে এই বর্বরতার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিদিন এর প্রতিবাদ করেছি। অথচ বিএনপি-জামাতের মুখ দিয়ে একটা শব্দও বের হয়নি। এখন তাদের চেহারা দেখাতেও লজ্জা হচ্ছে।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, আগে রাঙ্গুনিয়ার কি অবস্থা ছিল, এখন কি হয়েছে, তা আপনারা ১৫ বছর আগের কথা চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন। কর্ণফুলী নদীতে ব্লক বসানো না হলে চন্দ্রঘোনা, দোভাষিবাজারসহ অনেক এলাকা ভেঙ্গে যেত। রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে গত ১৫ বছরে প্রায় পাঁচ’শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আগে রাঙ্গুনিয়ার উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্তে যেতে সারাদিন লেগে যেত, এখন দেড়ঘন্টায় পৌঁছানো যায়। সারাদেশে এই যে পরিবর্তন একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে সম্ভবপর হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ২২ ধরণের ভাতা দেয়া হচ্ছে। এসব ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে কে আওয়ামী লীগ কে বিএনপি সেটা কখনো দেখা হয় না। যিনিই পাবার যোগ্য তাকেই দেয়া হয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে কিন্তু যারা ধানের শীষে ভোট দিয়েছে, শুধু তাদেরকেই দিত। আগেও সরকারের টিআর খাবিকা প্রকল্প ছিল। তখন যারা এমপি ছিল, তারা সেগুলো রাঙ্গুনিয়ায় আনেননি। সেগুলো মদুনাঘাটের ব্রীজের আগেই ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে যেত।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমদের সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, মেয়র আলহাজ্ব শাহজাহান সিকদার, ইফতেখার হোসেন বাবুল, ইদ্রিছ আজগর, আবু তাহের, হারুন সওদাগর, ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী প্রমুখ।