নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নিয়ে এসেছেন এবং তাকে জাতীয় কবি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি- গানটিকে জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন আমাদের সঙ্গে আছেন, তখন আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেমে থাকতে পারে না। বাংলাদেশ পিছিয়ে যেতে পারে না।’
শনিবার (১০ জুন) ঢাকায় শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কবিতা নিয়ে বাঁশি, আবৃত্তি ও নৃত্যানুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ‘বৈতরণী’ আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দুই কবির চিন্তাভাবনার উন্মেষ ঘটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি পরিচয় দিয়েছেন, তিনি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। জাতীয় কবির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকেও স্মরণ করতে হবে।’
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক বেড়াজালে আটকে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে এসেছেন বলেই সংস্কৃতি বেঁচে গেছেন, সংস্কৃতিকর্মীরা বেঁচে গেছেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সংস্কৃতিকেও এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ৭৫ পরবর্তী সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি সংস্কৃতিকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য তিনি প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।