ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ বোস নয়াকন্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) তো আমাদের লোক। ফরিদপুর তার জেলা। তিনি তার জেলায় আসবেন এটি আমাদের জন্য বিরাট পাওয়া। তার কাছে আমাদের উন্নয়নের জন্য কিছু চাইতে হয় না। নেত্রী নিজেই ভালো জানেন ফরিদপুরকে কী দিতে হবে। আমরা তার জয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আবারও প্রধানমন্ত্রী হলে এ অঞ্চলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষ্যে মাঠে ৫০ হাজার লোকসহ সড়ক এবং আশপাশের এলাকায় মোট এক লাখ লোকের সমাগমের আশা করছে জেলা আওয়ামী লীগ।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর -৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক। এ ছাড়া ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালি) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুর রহমান, ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহদাব আকবর ও ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্যাহ উপস্থিত থাকবেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আবদুল্লাহ বিন কালাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে শহরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, টহল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। শহরে টহল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর শহরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ এসেছিলেন ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ। ওইদিন বিকেলে তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠেই বক্তব্য দিয়েছিলেন।