রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা ‘আ.লীগের জুলুম না করা কর্মীরা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন’ ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৯ রাজধানীর ৭ জায়গায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ মাইক্রোক্রেডিটই ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ : প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা সমস্যার সমাধান নয়: গয়েশ্বর সচিবালয় ও যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ সৌদি আরব পৌঁছেছেন বাংলাদেশি ৩৭,৪৩০ জন হজ যাত্রী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন কর্মসূচি মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ ও সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ গমন নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি নাহিদের টার্মিনাল চালু হলে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বিডা চেয়ারম্যান

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : বুধবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৪, ৯:০৯ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। (ফাইল ছবি)

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাতানো ছিল না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিরোধীরা নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। যেখানে জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। নামিদামি অনেক দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এমন দাবি করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বড় অংশ। জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এ রণকৌশল নিতে হয়েছে, যার সোনালি ফসল আমরা ঘরে তুলেছি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এখন অনেকে অনেক কথাই বলবে। নির্বাচনে এলে হেরে যাবে এই কারণে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এই নির্বাচনকে যারা বয়কট করেছে তারা ভিন্ন কথা বলছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাকে নিয়ে আপনারা (বিএনপি) আমাদের কত রং দেখালেন, কত জাদুই বা দেখাইলেন, সেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাহেব তিনি (আওয়ামী লীগকে) অভিনন্দন জানিয়েছেন। এখন কাকে নিয়ে খেলবেন? কাকে নিয়ে আর এটা করবেন, ওটা করবেন? এখন স্বপ্ন দেখছেন কখন বিশাল নিষেধাজ্ঞা, কখন ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে, কখন নিষেধাজ্ঞা আসবে! রোজ কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধরুন।

তিনি বলেন, সময় আছে পাঁচ বছর। পাঁচ বছরের মধ্যে আর উল্টোপাল্টা বলে কোনো লাভ নেই। অপেক্ষা করতে হবে। পাঁচ বছর পর আবার ১০ ডিসেম্বর, আবার ২৮ অক্টোবরের অপেক্ষা করুন। নির্বাচনের ট্রেন বন্ধ গেছে পাঁচ বছর পর আবার চালু হবে। তাই বিএনপিকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।

ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির আস্ফালন কোথায় গেল? জনগণকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছে তারা। নির্বাচন বর্জনও করেছে। ভালো নির্বাচন হয়েছে বলেই এখন বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশংসা আসছে। বিএনপিই শুধু এই নির্বাচন গ্রহণ করতে পারছে না। তারা এখনো বলছে সংসদ অবৈধ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমানের মতো প্রহসনের নির্বাচন, মাগুরার মতো নির্বাচন করলেই কি নির্বাচন বৈধতা পাবে? বিএনপির অন্তত আওয়ামী লীগকে নির্বাচন শেখাতে হবে না। দেশে ভালো নির্বাচন করেছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেছে, সরকারি দলের প্রার্থীকেও শোকজ করেছে কমিশন। গণতন্ত্রের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সঙ্গে সাধারণ মানুষ নেই। তাই চরম হতাশাগ্রস্ত শিবিরে পরিণত হয়েছে বিএনপি। যে দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই সেই দল কীভাবে দেশের মানুষকে গণতন্ত্র দেবে। এই বিএনপি তাদের সাত ধারা বাতিল করেছিল। এই বিএনপি অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে নেতা বানিয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানাতে বিএনপি তাদের সাত ধারা বাতিল করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান মোতাবেক নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার যেদিন গঠিত হয়েছে তার পেছনের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সাংবিধানিক এ বিধানেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির অফিসে তালা লাগানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের অফিসে তালা মেরে বলে সরকার তাদের অফিসে লাগিয়েছে। আবার তাদের অফিসের তালা নিজেরাই ভাঙছে। বিএনপি তালা লাগাতেও পারে আবার ভাঙতেও পারে।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর