শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
রাষ্ট্রপতির সাথে তিন বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ ব্রাজিল সফরকালে ইউক্রেনে শান্তি ও গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান শি’র বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তিনজন তরুণ উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য উপদেষ্টা সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ পৃথিবীর সুরক্ষায় ‘জিরো কার্বন’-ভিত্তিক জীবনধারার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান বেক্সিমকো ফার্মায় রিসিভার নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত গাজা-লেবাননে ইসরায়েলি ‘হত্যাযজ্ঞ’ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান সৌদি যুবরাজের সরকারের তিন মাস পূর্তি : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য অর্জন আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বিদেশের মাটিতে আওয়ামী দুষ্কৃতকারীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে আইনজীবীদের প্রতিবাদ চট্টগ্রামে হাছান মাহমুদ ও নওফেলসহ ৬০ জনের নামে মামলা রাজধানীতে মিছিল : নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ৫৫ নেতাকর্মী কারাগারে আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে যাত্রা প্রধান উপদেষ্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা-মেয়ে মাধ্যমিক পাশ, ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন মা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ১:১১ অপরাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য মোছা. নুরুন্নাহার বেগম ও তার মেয়ে নাসরিন আক্তার দুজনই এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। মা-মেয়ে একসঙ্গে এবারের পরীক্ষায় পাস করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তবে ফলাফলে মেয়ের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মা নুরুন্নাহার।

গত রবিবার (১২ মে) প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মেয়ে নাসরিন চাতলপাড় ওয়াজউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ২ দশমিক ৬৭ পেয়েছেন। নুরুন্নাহার একই বিদ্যালয়ের কারিগরি (ভোকেশনাল) শাখা থেকে জিপিএ ৪ দশমিক ৫৪ পেয়েছেন।

মা ও মেয়ের একসঙ্গে পাস করার ঘটনা এলাকায় বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সবাই নুরুন্নাহারের প্রশংসা করছেন। ৪৪ বছর বয়সে নুরুন্নাহার পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পাস করেন। এমন খবরে বেশ খুশি নুরুন্নাহারও। তার পরিবারেও বইছে আনন্দের বন্যা। স্বজনরা ছুটে আসছেন তার বাড়িতে।

নুরুন্নাহার বেগম জানান, অনেক বিপত্তি পেরিয়ে তার এই এগিয়ে চলা। তিনি আরও পড়তে চান।

নুরুন্নাহার বেগম দৈনিক নয়াকন্ঠকে বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার বিয়ে হয়ে যায়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছিলেন বেশ রক্ষণশীল। এ অবস্থায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারিনি। একপর্যায়ে পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হই। এ নিয়ে টানা দুবার মেম্বার। সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশোনা চালু করি। কেননা লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি।’

নিজের দুই সন্তানকেও পড়ালেখা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। পড়াশোনার কোনো বয়স নেই বলে মনে করেন নুরুন্নাহার বেগম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর