নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌছেছে। গত ১৫ বছরে আমরা সেটা দেখতে পাই। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে। আজ এখানে পাওয়া এক সংবাদ কিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুই বাংলার এক আত্মা- ধমনীতে প্রবাহিত একই রক্ত, একই ভাষা-সংস্কৃতি, ভাতৃত্বের বন্ধনে একাত্ম আমরা। সবদিক দিয়ে এখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক খুবই ভালো, সাংস্কৃতিক বন্ধনটা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ভালোলাগা, সব দিক দিয়ে অনেক কাছাকাছি চলে এসেছে। আমাদের বিশ্বাসের বন্ধনটা বেশি উচ্চতায় চলে গেছে। আমরা যে মাতৃভাষায় কথা বলি, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার- সেটাতো আরও গভীরে।’
তিনি বলেন. ‘সেই সম্পর্কটা সূচনা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই অর্জিত হয় মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি এবং সে ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় বাঙালির চিরকাংখিত স্বাধীনতা, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধায় কোলকাতায় দ্য বেঙ্গল ক্লাবে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বাঙালির আত্মত্যাগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘের সভাপতি শিশির বাজোরিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের উপ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বক্তৃতা করেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি ।এ স্বাধীনতা অর্জনে ভারতবর্ষ তথা ভারতের জনগণের অবদান সবসময় স্মরণ করি, মর্যাদার সাথে দেখি। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য ভারতের প্রায় ১২ হাজার সেনা সদস্য শহীদ হয়েছেন। এটা আমরা কখনো ভুলে যাই না, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মাতৃভাষা এবং নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সংরক্ষণ ও তাদের মর্যাদা রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।