মায়ের কবরের পাশে শায়িত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
সোমবার বাদ আছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের জেলা ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে স্থানীয় শেরপুর কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
জানাজা নামাজে অংশ নেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ জানাজা নামাজে অংশ নেন।
এর আগে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি চৌকস দল মহান মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য ভূমিকা রাখা এই ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করেন।
এ সময় বিউগলের করুণ সুরে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে। জানাজা শেষে বর্ষীয়ান এই নেতাকে চির বিদায় জানাতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে শহরের শেরপুর কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিবগাহতুল্লাহ নূর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর জেলা শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি এক ছেলে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।