পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরূপ মন্তব্য পাগলের প্রলাপ।
মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, আজ মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তাদের সীমান্তরক্ষীদের আশ্রয় নেওয়া ও মর্টার শেলের আঘাতে দু’জন নিহত হওয়ার ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এ পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য ও তাদের পরিবার মিলিয়ে দুপুর পর্যন্ত ২২৯ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিপি ক্যাম্পে থাকা তাদের পরিবারের কয়েকজন বেসামরিক সদস্যও এর মধ্যে রয়েছে। কয়েকজন আহত কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া তাদের মর্টার শেলে বাংলাদেশের সীমানায় দু’জন নিহত হয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলাপ চলছে এবং নৌপথে নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ড. হাছান মাহমুদের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রী ও নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। সেখানে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে আমরা আলোচনা করব। মিয়ানমার ইস্যুতে আমরা আগেও ভারতের সহযোগিতা চেয়েছি, এবারেও এই বিষয়ে আলোচনাটা স্বাভাবিক।
সাংবাদিকরা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী মিয়ানমার সংকটের জন্য সরকারের নীতিকে দায়ী করেছেন -এমন প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী যা বলেছে সেটা পাগলের প্রলাপ। তারা ভেবেছিল নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিদেশিরা হস্তক্ষেপ করবে। কিন্তু তারা এখন হতাশ হয়ে এই ধরনের কথা বলছে।
এর আগে মন্ত্রণালয়ে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার ভেন্ডসেন (Espen Rikter-Svendsen) এবং ভ্যাটিকানের দূত আর্চবিশপ কেভিন স্টুয়ার্ট র্যান্ডাল (Kevin Stuart Randall) মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। নরওয়ের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের হাতে তার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তাটি হস্তান্তর করেন। নরওয়ের সাথে দূষণমুক্ত শক্তি বা ক্লিন এনার্জি বিষয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি ভ্যাটিকানের সাথেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট দুই দূতের সঙ্গে আলোচনা করেন মন্ত্রী।