শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
নিজ ঘরে মিলল ২ সন্তানসহ মায়ের গলাকাটা মরদেহ ‘দেশের শীর্ষ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে’ গোপনে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় যেসব খাবার পল্লবীতে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেফতার ৩ নৌকা প্রতীক থাকবে কিনা, জানালেন নির্বাচন কমিশনার নতুন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির কাজ শুরু হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরও ২ মাস বাড়লো ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতে আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযান শুরু’ স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন ফিরে না আসে সে জন্য ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে : বদিউল আলম চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান : ছাত্রশিবির মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা, যুবদলের ২ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ নিখোঁজের একদিন পর মসজিদের দোতলায় পড়ে ছিল শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ

রাইসি’র মৃত্যুতে ইরানের পররাষ্ট্রনীতির কোন পরিবর্তন হবে না

ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট : মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ১:২৮ অপরাহ্ন

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি’র নিহত হওয়ার ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও সংঘাত চলছে।
রাইসি’র মৃত্যুতে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। তবে পররাষ্ট্র নীতির কোন পরিবর্তন হবে না বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
তারা বলছেন, দেশটির চূড়ান্ত কর্তৃত্ব সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির(৮৫) অধীন। তাই রাইসি’র মৃত্যুতে দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে হয়তো। কিন্তু বৈদেশিকভাবে নীতিগত কোন পরিবর্তন হবে না।
বিশ্লেষকরা আরো মনে করছেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যুতে সেখানে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হবে। যার সুবিধা নিতে ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা কৌশল শুরু করবেন। রাইসি’র মৃত্যুকে ইরানের ক্ষমতাশালী কর্মকর্তারা একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখবেন। তাঁরা নিজেদের ক্ষমতার কাঠামোকে আরও পোক্ত করতে এত দিন এমনই একটি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। রাইসি’র আকস্মিক মৃত্যু তাই খামেনির জন্য বড় ধরনের পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

উল্লেখ্য, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রোববার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ আরও সাতজন নিহত হন।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস  গ্রুপের আলী ভায়েজ বলেছেন, ‘এমন একজন উত্তরসূরি আবির্ভূত হতে পারেন যিনি রাইসি’র মতোই রক্ষণশীল এবং রাষ্ট্রীয় নীতির প্রতি অনুগত।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তিনি আরো বলেছেন, পররাষ্ট্র নীতিতে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এবং ইসলামিক রিভ্যুউলিশনারি গার্ড তাদের কৌশলগত আধিপত্য বজায় রাখবে।

জিন জাওরেস ফাউন্ডেশনের ইরান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফরিদ ভাহিদ বলেছেন, সর্বোচ্চ নেতার খুব ঘনিষ্ঠ হওয়ায় রাইসি’র জন্যে সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ ছিল। ইরানী রক্ষণশীলরা এখনও এমন কাউকে খুঁজে নেবেন যিনি বেশি সমস্যার কারণ হবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এগেইনস্ট নিউক্লিয়ার ইরানের (ইউএএনআই) নীতি পরিচালক জ্যাসন ব্রোডস্কি বলেন, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট মূলত আজ্ঞা বাস্তবায়নকারী, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নন। তাই ইরানের নীতি ও সেই নীতিগুলোর মৌলিক বিষয় একই থাকবে।’

ইসরায়েলের রাইচম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অরি গোল্ডবার্গ বলেন, রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার হয়ে কাজ করতেন। তিনি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত ছিলেন।

গোল্ডবার্গের মতে, এখন খামেনিকে দেখাতে হবে, তিনি এই পরিবর্তনের সময় দেশকে কীভাবে সামলান।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা জিউইশ ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অব আমেরিকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল মাকোভস্কি বলেন, ইরান এখন নিজের বিষয় সামলাতে বেশি ব্যস্ত থাকবে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেশি যুক্ত হয়ে পড়বে। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও জটিল হবে।

উল্লেখ্য, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী খামেনির আস্থাভাজন হিসেবে অন্তর্বন্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার। সর্বোচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। এখন সর্বোচ্চ নেতার অনুমতি নিয়ে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান, পার্লামেন্টের স্পিকার ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে গার্ডিয়ান কাউন্সিল নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করবে।
তবে নির্বাচনে যিনিই আসুন তাতে ইরানের নীতির তেমন কোন পরিবর্তন না হওয়ার কথাই সবাই তুলে ধরেছেন।
এ প্রেক্ষিতে ভাহিদ আরো বলেছেন, ইসরায়েল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা তার পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতি ইরানের বৈদেশিক নীতিতে আমূল পরিবর্তন হবে যদি ‘শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন’ হয়।
তিনি বলেন, ‘রাইসি’র মৃত্যু কিছু সূক্ষ্মতা, কিছু পার্থক্য আনতে পারে, তবে ‘যতদিন নেতা জীবিত থাকবেন এবং গার্ডরা সেখানে থাকবেন’ তেমন কোনও বড় পরিবর্তন আশা করা উচিত নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর