দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী আংশিক) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় নির্বাচনী গণসংযোগের শুরুতে তিনি স্থানীয় রাহাতিয়া দরবারে মাজার জিয়ারত করেন। এরপর প্রচারের শুরু থেকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সর্বসাধারণের মাঝে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। সড়ক ও আশেপাশের বাড়ি-ঘর থেকে সাধারণ মানুষ তথ্যমন্ত্রীকে দেখতে ভিড় জমায় এবং পুষ্পবর্ষণ করে।
এ সময় মন্ত্রী সবার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান এবং স্থানীয় মুরব্বিসহ জনসাধারণের সাথে হাত মেলান। নেতৃবৃন্দের উচ্ছ্বাসের জবাবে হাছান মাহমুদকেও নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
তথ্যমন্ত্রী এ দিন মরিয়মনগর গাজী রশিদিয়া পাড়া, আমিরকুলাল পাড়া, পাঁচবাড়ি, সোনালী ব্যাংক চত্বর, বালুগোট্টা, চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের কাটাখালী, কদমতলী, জিয়া মার্কেট, বনগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি চালান এবং স্থানে স্থানে পথসভায় বক্তব্য দেন।
পথসভায় ড. হাছান বলেন, একজন শ্রমিক কিংবা কামলার দৈনিক কাজের সময়সীমা সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টা। আর আমি দৈনিক ১৬ ঘন্টা পরিশ্রম করি। রাত দু’টার আগে কখনো ঘুমাতে পারিনা। সবার শুক্র ও শনিবার ছুটি আছে, আর আমার কোনো ছুটি নাই। গত ১৫ বছর ধরে রাঙ্গুনিয়ার সব মানুষের জন্য আমি নিরন্তর কাজ করেছি। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাঙ্গুনিয়ার সব মানুষের খেদমত করেছি। সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমাকে ভোট দেয়নি, আমার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করেছে এরকম মানুষের চাকুরিও আমার হাত ধরে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছর সবার জন্য আমার দুয়ার খোলা রেখেছি। এখন আমি আপনাদের দুয়ারে হাজির হয়েছি। আপনারা আমার জন্য আপনাদের দুয়ারটা খোলা রাখবেন, এবং আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে পুনরায় এমপি নির্বাচিত করার আহ্বান জানাই।’
চুয়েটে’র ভিসি অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, কনকর্ড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোহাম্মদ আবু জাফর, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, ইফতেখার হোসেন বাবুল, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারসহ উত্তর জেলা, উপজেলাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীর গণসংযোগে যোগ দেন।