অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ‘জাতীয় প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার আইনগত ভিত্তি এখন কোথা থেকে পেলেন? ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের ওপর অন্য কিছুই অধিকতর গুরুত্ব পেতে পারে না। আন্দোলনকারী আমাদের ছেলেমেয়েদের বা জনতার সরলতাকে পুঁজি করে কোনো অন্যায় পদক্ষেপ নেওয়াও ঠিক হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব। জাদুঘর করা অবশ্যই প্রয়োজন, প্রশ্ন হলো গণভবনে কেন? অন্য জায়গায় নয় কেন?’
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার চরম আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হয়েছে। এই অসীম আত্মত্যাগকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।
অলি আহমদ বলেন, আমরা এলডিপির পক্ষ থেকে বৈঠকে মোট ৮৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করি, যা আমাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নয়, বরং দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য। দুঃখজনক হলেও সত্য, সংস্কার বাস্তবায়নের গতি হতাশাব্যঞ্জক।
তিনি বলেন, অনেকগুলো নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে মনোনয়ন বা নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। উপদেষ্টা এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অতীত ইতিহাস জানা না থাকলে বা রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব থাকলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাতে ছাত্র-জনতার রক্ত বৃথা যাবে।
রাষ্ট্রপতির দিকে ইঙ্গিত করে অলি আহমদ বলেন, দুর্নীতিবাজ একজন ব্যক্তি এখন পর্যন্ত দেশের এক নম্বর আসনে বসে আছেন। এর কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। সংবিধানের দোহাই দিয়ে, যারা তাঁকে এই আসনে বসিয়ে রেখেছে, তারা পক্ষান্তরে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন করছে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, আওরঙ্গজেব বেলাল, খাইরুল কবির পাঠান, হামিদুর রহমান খান প্রমুখ।