বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
নিজ ঘরে মিলল ২ সন্তানসহ মায়ের গলাকাটা মরদেহ ‘দেশের শীর্ষ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে’ গোপনে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় যেসব খাবার পল্লবীতে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেফতার ৩ নৌকা প্রতীক থাকবে কিনা, জানালেন নির্বাচন কমিশনার নতুন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির কাজ শুরু হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরও ২ মাস বাড়লো ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতে আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযান শুরু’ স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন ফিরে না আসে সে জন্য ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে : বদিউল আলম চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান : ছাত্রশিবির মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা, যুবদলের ২ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ নিখোঁজের একদিন পর মসজিদের দোতলায় পড়ে ছিল শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ

রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশন গঠন জন মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন : এটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:২২ অপরাহ্ন

এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগে যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে তাতে জন মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।
সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীব্যাপি তিনটি বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ।’
এটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের বিচার বিভাগের সংস্কার প্রয়োজন। কেননা বিচার বিভাগ তার কার্যক্রমে সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে। প্রজাতন্ত্রের অন্য কোনো বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগকে মিলানোর কোনো সুযোগ নেই। বিচার বিভাগ তার কার্যক্রমে সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ করবে। এটি নিয়ে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করেন এটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচার বিভাগের ওপর অন্য বিভাগের হস্তক্ষেপ ছিল। বিগত সময়ে গণতন্ত্র হত্যা লুটপাটের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছেন তারা আদালতে ন্যায়বিচার পাননি। সেখানেও তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ভুলেই গিয়েছিলেন যে তারা সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারেন। তারা নিজেদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ভাবতেন।
সরকারের সংস্কারের উদ্যোগে সকলকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণেই কার্যত বাংলাদেশের আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে বলে মনে করেন এটর্নি জেনারেল। সংবিধান সংস্কার কমিশন বিষয়গুলো দেখবেন বলে এসময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এটর্নি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিকভাবে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষমতা নেই। রাষ্ট্রপতি দু’টি ক্ষমতা প্রয়োগ করেন ১. প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ২. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ। তাতেও প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। প্রক্রিয়া শেষে তিনি নিয়োগ ও শপথ পড়ান। তিনি নিজে নিজে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারেন না। বিগত সময়ে দেখা গেছে সরকারের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতাও তিনি প্রয়োগ করতে পারেন না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন এটর্নি জেনারেল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর