বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন লক্ষ্মীপুর শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি পদে সেইফ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেরুল হাসান (কবি রাজু) ও কমপোর্ট ডায়াগনস্টিকের চেয়ারম্যান সাংবাদিক আব্বাস হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে।
রাজু ১২২ ভোট পেয়ে সভাপতি হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আমজাদ হোসেন মিস্টার পেয়েছেন ৭২ ভোট। এছাড়া সামছুল আলম শাহীন পেয়েছেন ৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে আব্বাস ১০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আবদুর রহমান তুহিন পেয়েছেন ৯৭ ভোট।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন কমিশনার ও লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল তাদের বিজয়ী ঘোষনা করেন।
এছাড়া সহ-সভাপতি হয়েছেন নাজমুল হাসান ও নুরুল হুদা। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মো. ফারুক হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিন। সংগঠনটির নির্বাহী সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদুল ইসলাম, মামুন হোসেন, হাবিবুর রহমান, রহমত উল্যা, শামছ মো. তারেক, মাহফুজুর রহমান, মিজানুর রহমান, আমির হোসেন, মু. জহিরুল ইসলাম।
সংগঠনটির নব নির্বাচিত সভাপতি মেহেরুল হাসান (কবি রাজু) বলেন, সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে সকল সদস্যদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করবো। স্বল্প খরচে উন্নত ও হয়রানি মুক্ত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবো। নিরুৎসাহিত করা হবে দালাল ভিত্তিক সেবাকে। শুধু দায়িত্ব নিয়ে বসে থাকা নয়, সংগঠন ও জেলার বেসরকারি হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর কল্যানে সর্বদা কাজ করবো। তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা ও সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করবো সকল অন্যায়ের।
নির্বাচন কমিশনার ও প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল বলেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন লক্ষ্মীপুর শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহন শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সংগঠনটির ২০৮ জন ভোটারের মধ্যে ২০৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
এই নির্বাচনে রাজু-তুহিন পরিষদের ১৫ টি পদের বিপরীতে ১৫ জন ও মিস্টার-আব্বাস পরিষদের ১৫ পদের স্থলে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করেছেন। এছাড়া ২ জন পরিষদের অন্তভূক্তি ছাড়া ভোট করেছেন। শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত এ ভোটে সবগুলো পদের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডী লড়াই হয়েছে। আশা করছি, নতুন কমিটির মাধ্যমে জেলার বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন পূর্বের চেয়ে কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে।