বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা সমস্যার সমাধান নয়: গয়েশ্বর সচিবালয় ও যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ সৌদি আরব পৌঁছেছেন বাংলাদেশি ৩৭,৪৩০ জন হজ যাত্রী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন কর্মসূচি মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ ও সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ গমন নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি নাহিদের টার্মিনাল চালু হলে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বিডা চেয়ারম্যান ভারত-পাকিস্তানকে দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করতে বললেন ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান তারেক রহমানের ‘ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন গ্রহণযোগ্য নয়’ সকালে ঘুম থেকে উঠে যে দোয়া পড়তে বলেছেন নবীজি পাকিস্তানে ভারতের হামলা, যা বলল রাশিয়া

ছাত্রলীগ নেতার ভিআইপি পতিতাবৃত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

স্পা সেন্টারের নামে রাজধানীর গুলশানে ভিআইপি পতিতাবৃত্তির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন গুলশান ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তফা হোসেন হেলাল। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ২৫টি স্পা সেন্টার। যেখানে প্রতিনিয়ত চলে অসামাজিক কার্যকলাপ।

গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে বিয়ে করেছেন স্পা সেন্টারের এক মালিককে। তাছাড়াও তার রয়েছে একাধিক স্ত্রী। চড়েন বিলাসবহুল গাড়িতে, থাকেন নিজের কেনা অভিজাত ফ্ল্যাটে। তার সন্তান পড়েন রাজধানীর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। প্রায়ই ঘুরতে যান বিদেশে। এই নেতার বিরুদ্ধে ৪২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে দুদকে। অথচ দৃশ্যমান কোনো আয় নেই তার। ছাত্রলীগের পদটিই যেন তার কাছে আলাদিনের চেরাগ। কালবেলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে সেসব তথ্য।

এক সময় মধ্যবাড্ডা এলাকার পোস্ট অফিস গলিতে সিডি এবং ফ্লেক্সিলোডের দোকান চালাতেন মোস্তফা হেলাল। ছাত্রলীগের পদ পেয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন গুলশানের স্পা সেন্টারগুলোতে। নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন ২৫টি স্পা সেন্টার। সেখানকার চাঁদাই তার আয়ের প্রধান উৎস।

গুলশানের কয়েকটি স্পা সেন্টারের মালিক জানান, স্পা সেন্টার চালাতে হলে হেলালকে প্রতি মাসে চাঁদা দিতেই হবে। অন্যথায় সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। সবাই ভয়ে চাঁদা দেন। এ ছাড়া হেলাল ব্যবসায়ীদের টাকা তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে তদবির বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি করেন।

জানা যায়, সরকারি তিতুমীর কলেজে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০১০-১১ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন হেলাল। তিনি কীভাবে এখনো ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন, তা রহস্যে ঘেরা। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বয়স ২৯ পেরোলে সংগঠনের পদে থাকা যায় না।হেলালের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ১৯৮৯ সালের ২ মার্চ। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই দায়িত্ব পাওয়ার সময়ই তার বয়স ছিল ৩০ বছর। বর্তমানে বয়স ৩৪ বছর সাত মাস। গুলশান থানা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হেলালের একক আধিপত্য। চার বছর ধরে গুলশান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ ধরে রেখেছেন তিনি। তার নামে চাঁদাবাজি ছাড়াও রয়েছে নানা অভিযোগ। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে হতাশ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

হেলালের বিরুদ্ধে নিজের মনমতো সংগঠন পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি দলীয় অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়া এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ এনে কয়েকজন নেতাকে অব্যাহতি দেন তিনি। অথচ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে বলা আছে, কোনো নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার এখতিয়ার থানা কমিটির নেই।

গুলশান থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, দলীয় পদ পেয়েই বেপরোয়া হেলাল। গড়ে তুলেছেন পতিতাবৃত্তির সাম্রাজ্য। দলের নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও হেলালের চাঁদাবাজি, অন্যদের মারধর করাসহ বিভিন্ন অন্যায় কাজে সহযোগিতা না করলে তাদের দেওয়া হয় অব্যাহতি।

হেলালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে উলটো হুমকি দিয়ে হেলাল বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে নিউজ করায় অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছি। আপনি সামনে এসে কথা বলুন। এসব কথোপকথনের রেকর্ড হাতে রয়েছে।

হেলালের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের পদে থেকে কেউ অনৈতিক কাজে জড়ানোর সুযোগ নেই। সব অভিযোগের বিষয়ে আমরা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।

সূত্র: কালবেলা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর