সময়ের ব্যস্ততম বংশীবাদক জাবিউল ইসলাম, যিনি একাধারে সমান তালে কাজ করছেন স্টেজ শো,টিভিশো ও মৌলিক গান রেকর্ডিং এ।
ইতিমধ্যে তার বাজানো বেশ কয়েকটি মৌলিক ও কাভার গান বাজারে পেয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা।
জাবিউল ইসলামের পুরো নাম জাবিউল ইসলাম। তার জন্ম ও বেড়ে উঠা গাইবান্ধা জেলার সদর থানায়।
ছোটবেলা থেকেই প্রিয় মানুষটি গানের প্রতি ছিলেন বেশ দুর্বল তাইতো তাইতো গুনগুনিয়ে মাঝেমধ্যে তিনি গান করতেন, এবং স্বপ্ন দেখতেন একদিন গানের মাধ্যমে সবার ভালোবাসা কুড়াবে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্ম নেওয়া প্রিয় মানুষটি গান চর্চার পাশাপাশি লেখাপড়ায় খুব মনোযোগী ছিলেন। পরবর্তীতে মাত্র আট বছর বয়সে তিনি পরিবারের সাথে ঢাকা চলে আসেন।
রাজধানীর আহমেদ বাগ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় তিনি ট্যালেন্টপুল বৃত্তি লাভ করে স্কুলের শিক্ষকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ নটরডেম কলেজে তিনি অধ্যয়ন করেন নটরডেম কলেজ থেকে সুনামের সাথে পাশ করেন।
বর্তমানে তিনি তিতুমীর কলেজ থেকে অনার্স ডিগ্রী সম্পন্ন শেষে মাস্টার্সে অধ্যায়ন করছেন।
এবং পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন স্টেজে ও স্টুডিও পড়ায় সমান তালে কাজ করে চলেছেন।
জাবিউল দেশের শীর্ষ মিউজিক লাউন্স আর টিভি সহ বেশ কয়েকটি প্লাটফর্মে বেশ কয়েকটি কাভার ও মৌলিক গানে বাঁশি বাজিয়ে ইতিমধ্যে সবার ভালোবাসা কুড়িয়েছেন।
বাঁশি বাজানোর পাশাপাশি জাবিউল নিয়মিত গানের চর্চা করেছেন এবং বর্তমানে নিজের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল jabiul official bd চ্যানেলে প্রায় দশটি মৌলিক গান বাজারে প্রকাশ করেছেন। গানগুলো লেখা সুর ও কম্পোজিশন করেছেন নিজেই।
জাবিউলের নানা জমশের আলি স্থানীয় একজন সৌখিন জনপ্রিয় বংশীবাদক ছিলেন, মামার কাছে নানার বাঁশি বাজানোর কথা প্রায় শুনতেন, সেই অনুপ্রেরণা থেকেই বাঁশির প্রতি আকৃষ্ট হন এমনটাই জানিয়েছেন জনপ্রিয় এই বংশীবাদক।
জানতে চাইলে জাবিউল আরো বলেন, সংগীত আমার রক্তে মিশে আছে তাই প্রতিনিয়ত সংগীত আমাকে টানে, এছাড়া আমার বাবা ও আমার বড় বোন প্রত্যেকেই রেডিওতে ছোটবেলায় দেখতাম গান শুনতেন সেই থেকে আমিও নিজে ছোটবেলা থেকে গুনগুনিয়ে নিয়ে গান করতাম, আমৃত্যু সংগীতের সাথে থাকতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বপ্ন একজন সঙ্গীত পরিচালক হওয়া পাশাপাশি নিজের কন্ঠে কিছু গান দর্শকদের উপহার দেওয়া, যে গানগুলো মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে সে স্বপ্ন দেখি আমি প্রতিনিয়তই। সর্বশেষ এই রিপোর্টের মাধ্যমে আমি আমার মায়ের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কারন আমার মা আমাকে জীবনের প্রথম বাঁশি কেনার টাকা দিয়েছিলেন।